প্রসঙ্গঃ বিশ্ব সেরা বিশ্ববিবিদ্যালয় র্যাংকিং এবং বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান
প্রসঙ্গঃ বিশ্ব সেরা বিশ্ববিবিদ্যালয় র্যাংকিং এবং বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান
-
সাম্প্রতিক সময়ে করা বিশ্ব সেরা 1000 ভার্সিটির তালিকার মধ্যে নেই বাংলাদেশের একটি ইউনিভার্সিটি ও!!!
উল্লেখ্য যে, এবারের তালিকায় মালয়েশিয়া,
ব্রাজিল, কোরিয়া, তুরস্ক, ভারত আছে,
আর্জেন্টিনার মত গরিব দেশও আছে, এমনকি
পাকিস্তানেরও একাধিক ইউনিভার্সিটি এই তালিকায়
আছে।আমাদের দেশের নামকরা ভার্সিটিগুলোর
একটাও তাহলে নেই কেন???
আসুন কারনগুলো দেখি-
১। ভর্তি প্রসঙ্গঃ
এ ব্যাপারে একজন স্যার লিখেছেন- "নোবেল
বিজয়ী 'মালালা ইউসুফ জাঈ' আমেরিকার
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য
আবেদন করেছিলেন। ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ
বলেছে তাকে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই উত্তীর্ন হতে
হবে, নোবেল কোটা কোন কাজে আসবে না।
এখন আমাদের দেশের কথা চিন্তা করুন। উপজাতি
কোটা, খেলোয়াড় কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা,
পোষ্য কোটা, নারী কোটা। আমি এমনও জানি, এক
মেয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেও শুধুমাত্র
টিচারের মেয়ে হওয়ায় সে এখন কম্পিউটার
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ে!
-
২। পড়াশোনার পরিবেশঃ
লেখক বলেন : বিদেশের ইউনিভার্সিটি গুলোর
লাইব্রেরীতে গেলে মনে হয় এটা কোন করস্থান,
পিনপতন নীরবতায় সবাই যার যার পড়াশোনা
করছে।
আর আমাদের দেশের ইউনিভার্সিটি গুলোর
লাইব্রেরীতো একেকটা 'ক্যাফেটেরিয়া', বাদাম
বিক্রি থেকে আাইসক্রিমের ব্যবসাও লাইব্রেরীতে
চলে। রাত দশটার পর কেন হলের বাইরে থাকতে
পারবে না, এর প্রতিবাদে আমাদের মেয়েরা মিছিল
করে।(সম্ভবত রাত দশটার পর তারা বাইরে গিয়ে
গ্রুপ স্টাডি করতে চায়)। আমদের জ্ঞান পিপাসু ছেলেরা ভার্সিটির মত জায়গায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রশ্রাব
করা, মদের বোতল আর গাঁজার পুটলি কিংবা তবলা
আর ঢোল নিয়ে গাছ তলায় বা বট তলায় টাইমপাস
করাকেই ভার্সিটি কালচার বুঝেন । শিক্ষক পেটানো আর
প্রতিপক্ষ পটানো যেন ভার্সিটিগুলোর দৈনন্দিন
রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হচ্ছে।
-
৩। উচ্চশিক্ষায় গবেষণাঃ
বিদেশের ইউনিভার্সিটি গুলোতে গবেষণা খাতে
মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়। আর
আমাদের ভার্সিটিগুলোতে এ খাতে কোন বরাদ্দ
নেই। বলবেন, আমরাতো গরীব রাষ্ট্র! এতো টাকা
পাবো কোথায়? আসলে কি তাই?!
কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গাওয়া যায়
(যেখানে দেশাত্মবোধ মুখ্য নয়, উদ্দেশ্য গ্রীনিস
বুকে নাম তোলা);
লাখ লাখ লাখ টাকা খরচ করে আলপনা (রোড
পেইন্টিং) আঁকার
মতো কাজ করা যায়; ক্রিকেটারদের কোটি টাকা
দেওয়া যায়; লাখ লাখ টাকা খরচ করে রিইউনিয়ন,বছর পূর্তি ও করা যায়। শুধু উচ্চশিক্ষায় গবেষণা কাজেই
আমরা গরীব হয়ে যাই!! টাকা থাকে না!!
ইউনিভার্সিটিকে এগিয়ে নিতে হলে, দেশকে এগিয়ে
নিতে হলে ইউনিভার্সিটির রিসার্চের বিকল্প নেই।
-
৪। শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের অবস্থাঃ
ফাইভ পাশ করা কাউকে যদি প্রাইমারী স্কুলের
টিচার বানানো
হয় কিংবা এসএসসি পাশ করার পরদিনই যদি কাউকে
হাইস্কুলের টিচার বানিয়ে দেওয়া হয়, অবস্থা কেমন
হবে? বর্তমানে অনার্স শেষ করতেই অনেকে
ইউনিভার্সিটির টিচার হয়ে পড়েন। না আছে কোন
মৌলিক গবেষনাগ্রন্থ,বিশেষ প্রবন্ধ, না আছে
পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ! আর ব্যাক্তিত্বহীনত
াতো
আছেই। এরা স্টুডেন্টদের কী শিখাবেন? আর যারা
অপেক্ষাকৃত ভালো তারা বিদেশ চলে যান। সিএনজি
ড্রাইভারের মত বেতনে কে চাকরি করতে চায়?
বছরে কয়েকবার শিরোনামহীন, জেমস, আইয়ুব
বাচ্চুকে এনে
কনসার্ট করানো যায় (ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের
অনুদান থাকে), কিন্তু বিদেশের বিখ্যাত কোন
প্রফেসর/ বিজ্ঞানী/ গবেষক এনে ভাষণ-বক্তৃতা
দেওয়ানো যায় না! স্টুডেন্টরা শিখবে কীভাবে?
যেমন কর্তৃপক্ষ, তেমন স্টুডেন্ট!
-
সবচেয়ে বড় কথা হলো এ নিয়ে কারো মাথাব্যাথা
নেই। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় কিংবা শিক্ষাবিদরা এ
নিয়ে চিন্তাই করেন না। দরিদ্র রাষ্ট্র হওয়ার
পরও বুয়েন্স আয়ার্স কিংবা কায়েদে আজম
ইউনিভার্সিটি পারলে আমরা পারবো না কেন? এটা
"ধর তক্তা, মার পেরেক" টাইপের কিছু না।
প্রয়োজন ৫০/১০০ বছর মেয়াদী মাস্টার প্লান।
ভুলে গেলে চলবে না,একটা দেশের উন্নতি জাতীয়
সংগীত গাওয়া, ক্রিকেট খেলা কিংবা সুন্দরবনকে
ভোট দেওয়ার উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে
সে দেশের শিক্ষার উপর।
-
সাম্প্রতিক সময়ে করা বিশ্ব সেরা 1000 ভার্সিটির তালিকার মধ্যে নেই বাংলাদেশের একটি ইউনিভার্সিটি ও!!!
উল্লেখ্য যে, এবারের তালিকায় মালয়েশিয়া,
ব্রাজিল, কোরিয়া, তুরস্ক, ভারত আছে,
আর্জেন্টিনার মত গরিব দেশও আছে, এমনকি
পাকিস্তানেরও একাধিক ইউনিভার্সিটি এই তালিকায়
আছে।আমাদের দেশের নামকরা ভার্সিটিগুলোর
একটাও তাহলে নেই কেন???
আসুন কারনগুলো দেখি-
১। ভর্তি প্রসঙ্গঃ
এ ব্যাপারে একজন স্যার লিখেছেন- "নোবেল
বিজয়ী 'মালালা ইউসুফ জাঈ' আমেরিকার
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য
আবেদন করেছিলেন। ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ
বলেছে তাকে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই উত্তীর্ন হতে
হবে, নোবেল কোটা কোন কাজে আসবে না।
এখন আমাদের দেশের কথা চিন্তা করুন। উপজাতি
কোটা, খেলোয়াড় কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা,
পোষ্য কোটা, নারী কোটা। আমি এমনও জানি, এক
মেয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেও শুধুমাত্র
টিচারের মেয়ে হওয়ায় সে এখন কম্পিউটার
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ে!
-
২। পড়াশোনার পরিবেশঃ
লেখক বলেন : বিদেশের ইউনিভার্সিটি গুলোর
লাইব্রেরীতে গেলে মনে হয় এটা কোন করস্থান,
পিনপতন নীরবতায় সবাই যার যার পড়াশোনা
করছে।
আর আমাদের দেশের ইউনিভার্সিটি গুলোর
লাইব্রেরীতো একেকটা 'ক্যাফেটেরিয়া', বাদাম
বিক্রি থেকে আাইসক্রিমের ব্যবসাও লাইব্রেরীতে
চলে। রাত দশটার পর কেন হলের বাইরে থাকতে
পারবে না, এর প্রতিবাদে আমাদের মেয়েরা মিছিল
করে।(সম্ভবত রাত দশটার পর তারা বাইরে গিয়ে
গ্রুপ স্টাডি করতে চায়)। আমদের জ্ঞান পিপাসু ছেলেরা ভার্সিটির মত জায়গায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রশ্রাব
করা, মদের বোতল আর গাঁজার পুটলি কিংবা তবলা
আর ঢোল নিয়ে গাছ তলায় বা বট তলায় টাইমপাস
করাকেই ভার্সিটি কালচার বুঝেন । শিক্ষক পেটানো আর
প্রতিপক্ষ পটানো যেন ভার্সিটিগুলোর দৈনন্দিন
রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হচ্ছে।
-
৩। উচ্চশিক্ষায় গবেষণাঃ
বিদেশের ইউনিভার্সিটি গুলোতে গবেষণা খাতে
মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়। আর
আমাদের ভার্সিটিগুলোতে এ খাতে কোন বরাদ্দ
নেই। বলবেন, আমরাতো গরীব রাষ্ট্র! এতো টাকা
পাবো কোথায়? আসলে কি তাই?!
কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গাওয়া যায়
(যেখানে দেশাত্মবোধ মুখ্য নয়, উদ্দেশ্য গ্রীনিস
বুকে নাম তোলা);
লাখ লাখ লাখ টাকা খরচ করে আলপনা (রোড
পেইন্টিং) আঁকার
মতো কাজ করা যায়; ক্রিকেটারদের কোটি টাকা
দেওয়া যায়; লাখ লাখ টাকা খরচ করে রিইউনিয়ন,বছর পূর্তি ও করা যায়। শুধু উচ্চশিক্ষায় গবেষণা কাজেই
আমরা গরীব হয়ে যাই!! টাকা থাকে না!!
ইউনিভার্সিটিকে এগিয়ে নিতে হলে, দেশকে এগিয়ে
নিতে হলে ইউনিভার্সিটির রিসার্চের বিকল্প নেই।
-
৪। শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের অবস্থাঃ
ফাইভ পাশ করা কাউকে যদি প্রাইমারী স্কুলের
টিচার বানানো
হয় কিংবা এসএসসি পাশ করার পরদিনই যদি কাউকে
হাইস্কুলের টিচার বানিয়ে দেওয়া হয়, অবস্থা কেমন
হবে? বর্তমানে অনার্স শেষ করতেই অনেকে
ইউনিভার্সিটির টিচার হয়ে পড়েন। না আছে কোন
মৌলিক গবেষনাগ্রন্থ,বিশেষ প্রবন্ধ, না আছে
পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ! আর ব্যাক্তিত্বহীনত
াতো
আছেই। এরা স্টুডেন্টদের কী শিখাবেন? আর যারা
অপেক্ষাকৃত ভালো তারা বিদেশ চলে যান। সিএনজি
ড্রাইভারের মত বেতনে কে চাকরি করতে চায়?
বছরে কয়েকবার শিরোনামহীন, জেমস, আইয়ুব
বাচ্চুকে এনে
কনসার্ট করানো যায় (ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের
অনুদান থাকে), কিন্তু বিদেশের বিখ্যাত কোন
প্রফেসর/ বিজ্ঞানী/ গবেষক এনে ভাষণ-বক্তৃতা
দেওয়ানো যায় না! স্টুডেন্টরা শিখবে কীভাবে?
যেমন কর্তৃপক্ষ, তেমন স্টুডেন্ট!
-
সবচেয়ে বড় কথা হলো এ নিয়ে কারো মাথাব্যাথা
নেই। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় কিংবা শিক্ষাবিদরা এ
নিয়ে চিন্তাই করেন না। দরিদ্র রাষ্ট্র হওয়ার
পরও বুয়েন্স আয়ার্স কিংবা কায়েদে আজম
ইউনিভার্সিটি পারলে আমরা পারবো না কেন? এটা
"ধর তক্তা, মার পেরেক" টাইপের কিছু না।
প্রয়োজন ৫০/১০০ বছর মেয়াদী মাস্টার প্লান।
ভুলে গেলে চলবে না,একটা দেশের উন্নতি জাতীয়
সংগীত গাওয়া, ক্রিকেট খেলা কিংবা সুন্দরবনকে
ভোট দেওয়ার উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে
সে দেশের শিক্ষার উপর।
Comments
Post a Comment